- BRIEF SUMMARY ABOUT FILM
Pounopunik is a Bengali word. It means recurrent. The Story of Pounopunik is revolved around the struggle of a female sex worker to give her daughter the light of education. Being a member of the dark world of lust, she fights hard to establish the identity of a mother over that of a sex worker. She is willing to fight all odds in order to fulfil her daughter’s dream to be educated.
Pounopunik is not the story of winners rather it is the story of those losers who lose to the hypocrisy of the society although being courageous. Our society is ruthless & inexcusable to those who try to lead a respectable life by erasing their dark past. In spite of that, some people dream & fight. Maybe they will lose but they will surely leave behind inspiration for others to fight & win.
- গল্প সংক্ষেপ
সমাজের অবদমিত অধ্যায়ের অস্পৃশ্য নারীর দ্রোহ ও শেকল ভাঙ্গার অদম্য সাহস, স্বপ্ন, লড়াই এবং হেরে গিয়ে যাপিত জীবনের পুনরাবৃত্তির ঘটনা প্রবাহ নিয়ে এক ঝাঁক তরুণের নিরলস শ্রমে নির্মিত হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পৌনঃপুনিক।
একজন ভাসমান পতিতার অন্ধকার জগতের বাসিন্দা হয়েও তার সন্তানের আলোকজ্জল জীবনের স্বপ্ন দেখা, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে সমাজের বাঁধা বিপত্তিকে দূর করার অদম্য জেদ এবং সন্তানের জীবনে শিক্ষার আলো পৌঁছে দেয়ার প্রচেষ্টায় আবর্তিত হয়েছে পৌনঃপুনিক এর গল্প।
পৌনঃপুনিক বিজয়ীর জীবন গল্প নয়। লড়াইয়ে হেরে যাওয়া অগনিত চরিত্রের একটি চরিত্র মাত্র। সমাজের প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গী বদলাতে চাওয়াটা ভীষণ দুঃসাহসের। আমাদের সমাজে অন্ধকার জগৎ থেকে স্বাভাবিক স্রোতে মিশে যাবার পথটি মসৃণ নয়। তবুও কিছু মানুষ স্বপ্ন দেখে, লড়াই করে, হয়তো হেরে যায়, হেরে গিয়েও রেখে যায় অসংখ্য মানুষের লড়াই করার অণুপ্রেরণা।
halimaaktertanny307 (verified viewer) –
মায়েরা চিরকালই নিঃস্বার্থ হয়। নিজের জীবন যেমনই হোক, সন্তানের জন্য সে একটি নিরাপদ, সুন্দর জীবন গড়তে চায়। নিজে অন্ধকার জগতের বাসিন্দা হয়েও সন্তানকে আলোর পথে হাঁটতে দিতে চায়। একজন যৌনকর্মী আমাদের সমাজে খুবই ঘৃণার পাত্র। বেঁচে থাকাকালীন যেমন সে বিন্দুমাত্র সম্মান পায় না, মৃত্যুর পরও সে কিঞ্চিৎ পরিমাণ সম্মান পায় না। একজন যৌনকর্মীর বাঁচা, মরা, তার স্বপ্ন ইত্যাদির খোঁজ সমাজ কখনোই রাখে না৷ কেউ যেচে দেহবিক্রির পেশায় নামে না৷ মানুষ কতটা অসহায় হলে এই পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করে তা একমাত্র ঐ মানুষটি বাদে অন্য কারো পক্ষে অনুধাবন করা সম্ভব নয়। কেউ অসহায়তার দরুণ, আবার কেউ কেউ ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে এ জগৎ এ জড়িয়ে যায়। তবে একবার যে এই জগৎ এ প্রবেশ করে তার বোধহয় আর আলোর মুখ দেখা হয় না৷ তবে কেউ কেউ চায় নিয়ম ভাঙতে। নিয়ম ভাঙা কি এতই সহজ? সে প্রশ্নের উত্তর না হয় তোলা থাক। সমাজের স্বাভাবিক স্রোতে তাল মিলাতে চাওয়া এক মায়ের গল্প “পৌনঃপুনিক”। এক মায়ের তার সন্তানকে একটি স্বাভাবিক, সুন্দর জীবন দেওয়ার স্বপ্নের গল্প ” পৌনঃপুনিক।” শেষ পর্যন্ত জীবনযুদ্ধে বিজয়ী হতে পেরেছিল কি এক মা জানতে হলে দেখতে হবে “পৌনঃপুনিক”। সমাপ্তিটা ছিল চমকপ্রদ ও আবেগঘন। এমন সমাপ্তি হবে ভাবিনি৷ যাই হোক “পৌনঃপুনিক” খুবই ভালো লেগেছে। এটা নিঃসন্দেহে আমাদের ভাবনার জগৎ-কে নাড়া দেবে।
swarupana (verified viewer) –
এক কথায় একটা পূর্ণাঙ্গ গল্প অল্প পরিসরে দেখে ফেললাম। তবে পরিসর আরো বড় হতে পারত। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র আফসোসটাই এখানে, অনেক প্রতিবন্ধকতা ঠেলে একটা কাজ শেষ করতে হয়। “পৌনঃপুনিক”এর সার্থকতা দৈর্ঘ্য স্বল্প রাখতে গিয়ে গল্পটা হারিয়ে যায় নাই। অভিনয় সুন্দর সাবলীল। গল্পের অভিঘাতী (এন্টাগোনিস্ট) চরিত্রটির আরেকটু বিস্তার হতে পারত। সময় স্বল্পতার কারণে উৎকন্ঠা তৈরী হতে হতেই গল্পের মোড় ঘুরে গেল। ব্যাপ্তির সীমাবদ্ধতার মধ্যেও নির্মাতা খন্দকার সুমন’র গল্প বুননের মুন্সিয়ানা ও পরিমিতিবোধ দর্শকমনে নাড়া দিয়ে যায়। “পৌনঃপুনিক” গল্পপিপাসু দর্শকের তৃষ্ণা মিটাবে এটা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়। জয়তু স্বাধীন নির্মাণ, জয়তু স্বাধীন নির্মাতা।